সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন
জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক:: সুনামগঞ্জ -৩ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা কাটেনি। ইতিমধ্য সুনামগঞ্জের চারটি আসনসহ ২০৬ আসনে প্রার্থীতা চুড়ান্ত করা হলেও জগন্নাথপুর-দক্ষিন সুনামগঞ্জ নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ-৩ আসেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এখনো চুড়ান্ত হয়নি। ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হতে ঐক্যফ্রন্টের শরিকদল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী দুই নেতা নিজেদেরকে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী দাবি করে প্রচারনার পাশাপাশি জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। একপক্ষে আছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রধান গণফোরাম সভাপতি ড,কামাল হোসেন ও আরেকপক্ষে বিএনপি জোটের পুরাতন শরিকদল জমিয়ত। ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী তালিকায় আলোচনায় থাকা জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী নিজেকে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী দাবি করে জগন্নাথপুর পৌর এলাকায় নির্বাচনী কার্যালয় স্থাপন করে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছেন। অপরদিকে গনফোরাম নেতা নজরুল ইসলাম নিজের ফেসবুকে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড.কামাল হোসেনের প্রার্থী উল্লেখ করে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চেয়েছেন। মনোনয়নের বিষয়ে দুই নেতার আশাবাদ নেতাকর্মীদের বিভ্রান্তিতে ফেলেছে।
জগন্নাথপুর- দক্ষিন সুনামগঞ্জ এলাকার লোকজন জানান, ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল প্রয়াত জাতীয় নেতা আব্দুস সামাদ আজাদের মৃত্যুর পর ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত শুন্য আসনে উপ-নির্বাচনে অংশ নেন আওয়ামীলীগ ঘরনার দুই প্রার্থী। তাঁরা হলেন সাবেক সচিব মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান ও যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য নজরুল ইসলাম। নির্বাচনে চারদলীয় জোট প্রার্থী হিসেবে অ্যাডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান কে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নজরুল ইসলাম এর পক্ষে জনসভায় আসেন গণফোরাম সভাপতি ড.কামাল হোসেন।
নির্বাচনে পরাজিত হয়ে নজরুল ইসলাম যুক্তরাজ্যে চলে যান। আর মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান আওয়ামীলীগে যোগদান করে মন্ত্রী এমপি হন। দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নীরব থাকলেও ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর তিনি নজরুল দেশে চলে আসেন। সম্প্রতি গণফোরামে যোগদান করে ঐক্যফ্রন্টে প্রার্থী হতে তৎপর হন।
নজরুল ইসলাম বলেন,ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড.কামাল হোসেন এর আহ্বানে আমি গণফোরামে যোগদান করে গণফোরামের মনোনয়ন জমা দিয়েছি। আশাকরি জোটের শরিকদের কাছ থেকে আসনটি গণফোরামকে দেয়া হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন করার আশা নিয়ে গণফোরাম সভাপতি ড.কামাল হোসেন এর নির্দেশে মাঠে কাজ করেছি।
জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী বলেন,আমি ২০০৫ সালে এ জোটের প্রার্থী হিসেবে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছি। ২০০৮ সালে জোটের প্রার্থী ছিলাম। ২০১৪ সালে জোট নির্বাচনে অংশ না নিলে প্রার্থী হইনি। আমি দৃঢ আশাবাদী ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন আমি পাব।
Leave a Reply